লেখকঃ নয়ন দেবনাথ
........ ........ ........পৃথিবীতে এত সাগর এত নদী
বয়ে চলেছে নিরবধি।
তবুও পানি নেই পানি নেই বলে
চিত্কার করে মরি পিপাসায়।
এক জনমের পিপাসা বুকে নিয়ে
ঘুরে বেড়াই পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে।
মাঝরাতে ঘুমভেঙ্গে চিত্কার করি-
"আলো দাও আলো দাও"বলে।
আমি যাবো আলোর গভীরে।
কিন্তু চারদিক থেকে নেমে আসে
শন্ শন্ নিরবতা।
আমি তলিয়ে যাই অন্ধকারে,
তিমির কুন্ডলীতে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে বলি-
"প্রভু শক্তি দাও, আমি যাবো আলোর সন্ধানে।"
তখনই নেমে আসে অদৃশ্য কাঁচের দেয়াল।
আমার নিঃশ্বাস চুষে নেয়
জীবনের সবটুকু অক্সিজেন।
আমার পা থেমে যায়
চিরকালের স্তব্দতায়।
আমার চোখ বিশ্বাসঘাতকতা করে
এক জনমের বন্ধুত্বের।
আমার ইচ্ছের চেয়ে
বড় বেশি অসহায় আমি।
আমার চাওয়ার চেয়ে
বড় বেশি নিঃস্ব এ পৃথিবী।
আমার ভালোবাসার চেয়ে
বড় বেশি নীলিমা বর্জিত এ আকাশ।
আমি যতটুকু চাই ততটুকু পাইনা বলে
বড় বেশি কষ্ট আমার।
আমি ভোরের শীতল জলে স্নান করতে গিয়ে
এসিডের ছোঁয়ায় ঝলসে যাই।
দৌড়ে পার হতে গিয়ে
গাড়ির নিচে মুখ লুকাই।
আমি স্বপ্ন ভাণ্ডারে হাত ডুবিয়ে
দুঃস্বপ্নের ছোবলে কাতরাই।
আমি ভালোবেসে আপন করতে গিয়ে
শক্রুতায় ফিরে আসি বার বার।
আমি তো চাইনি হতে
গৌরিসেনের মতো ধনবান,
কিংবা, শাহজাহানের মতো
ভালোবাসার তীর্থ?
তবে পরিণামে আমাকেই কেন
বয়ে বেড়াতে হবে এ-বিষের ব্রহ্মাণ্ড?
অথচ বিধাতা কি যে জীবন দিলে।
আমি এতটুকুতেই ডুকরে কাঁদি।
কান্নায় ফোঁপাই।
মাঝরাতে পারিতো ছুটে বেড়িয়ে যাই
সকল অসাধ্যের দুঃখ মুছে দিয়ে।
* ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪১০ বঙ্গাব্দ। হেমন্তকাল ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন